সময় মূল্য এখানে নেই। মুক্তাঞ্চল হয়ে রয়ে গেছে খড়গপুর শহরের ৩২নম্বর ওয়ার্ডের আরামবাটি, ট্যাংরা হাট এলাকা। পৌরসভার মধ্যে রয়েও সব কিছু সুযোগ সুবিধা পেলেও, শহরের অন্য এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়ে গেছে অর্ধ শতকেরও বেশি সময় ধরে।
আরামবাটি এলাকার পাশেই নিমপুরা রেল ইয়ার্ড।রেলের মালগাড়ি খালি, স্যান্টিং সবই হয় এখানে। আরামবাটি, ট্যাংরার লোকেদের কোনো কাজে যেতে গেলে ২দিকের লেবেল ক্রসিংএ দাঁড়াতে হয়। এই দাঁড়ানোর সময়টা কখনো ১ঘন্টা হয়ে যায়। এই এলাকার মধ্যে ১টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। বাইরে বাইরে থেকে ছেলে মেয়েরা স্কুলে কখনো সময় মতো পৌঁছাতে পারে না। হাসপাতালে, চাকরি সূত্রে যেতে হলে কখন কে কিভাবে পৌঁছাবে কোনো ঠিক থাকে না। তালবাগিচা, হিরাডী, নিমপুরার লোকেদের এই এলাকার মধ্যে দিয়ে যেতে গেলে লেবেল ক্রসিং মধ্যে ফেঁসে থাকতে হয়। কোনো জনপ্রতিনিধি, কোনো রাজনৈতিক দল, কোনো সরকারকে ভাবাতে পারেনি এই এলাকার প্রায় ২০-২৫হাজার মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা।
তাই এলাকাবাসী রাজনীতি রংয়ের উর্ধ্বে উঠে একত্রিত হয়ে “খড়গপুর শহর (আরামবাটি)পশ্চিমাঞ্চল জনগণের যৌথ কমিটি” উদ্যোগে আন্দোলন শুরু হয়েছে। কমিটি ২টি দাবিতে কনভেনশন করে আজ থেকে লাগাতার আন্দোলন শুরু করেছে। কমিটির সম্পাদক দীনবন্ধু নায়েক জানান যে রেলের কাছে আমাদের দাবী
১)আরামবাটি থেকে নিমপুরার দিকের লেবেল ক্রসিংএ FLY OVER তৈরী করতে হবে।
২)আরামবাটি থেকে তালবাগিচা, হিরাডী যাওয়ার রাস্তায় লেবেল ক্রসিংর তলায় UNDER PASS করতে হবে।
এই দাবীতে আজ ২০০০ মানুষের সই সংগ্ৰহ করা হয়েছে। আগামীদিনে আরো মানুষের সই সংগ্ৰহ করে জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে রেল বোর্ড পর্যন্ত সকলকে এই সই সংগ্ৰহ সম্বলিত ডেপুটেশন দেওয়া হবে। আজকের এই গণ সই সংগ্ৰহে এলাকার।মহিলা, পুরুষ, সহ খড়গপুরের বিশিষ্ট অনিল দাস(ভীমদা) ৩২নং ওয়ার্ডেপ্রাক্তন কাউন্সিলর সনাতন যাদব, সহ ওয়ার্ডের বিশিষ্ট মানুষজন ছিলেন।
For Sending News, Photos & Any Queries Contact Us by Mobile or Whatsapp - 9434243363 // Email us - raghusahu0gmail.com